Light post style with image
Show off your recent blog posts in a standard format on the light and soft background with carousal option
বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেটের ভবিষ্যৎ
রিয়েল এস্টেট বলতে বোঝায় নির্দিষ্ট মালিকানাধীন এমন স্থাবর সম্পত্তি, যা কেনাবেচা বা ভাড়া দেওয়া যায়। এই খাতে যারা ব্যবসা করেন, তারা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী নামে পরিচিত। বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষের আবাসন চাহিদা পূরণে রিয়েল এস্টেট খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং এটি উদ্যোক্তাদের জন্য এক সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যবসায়িক সূচকের দিকে তাকালে স্পষ্ট বোঝা যায়, বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট খাতের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল। করোনা মহামারির আগে এই খাতের বাজারমূল্য ছিল প্রায় ১৬০০ বিলিয়ন ডলার। কোভিডের প্রভাবে কিছুটা ধীর হয়ে গেলেও, বর্তমানে এটি আশাব্যঞ্জকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষে বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট বাজার ২.৬৮ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে, যা এই খাতের সম্ভাবনারই একটি বড় প্রমাণ। রিয়েল এস্টেট খাতের অগ্রগতির পেছনের কারণসমূহ ১. ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা:বাংলাদেশে দ্রুত জনসংখ্যা বাড়ছে। এর ফলে আবাসিক ও বাণিজ্যিক অবকাঠামোর চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। ২. অবকাঠামোগত উন্নয়ন:আগে শুধু শহরকেন্দ্রিক উন্নয়ন হলেও বর্তমানে গ্রামগঞ্জেও রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, পানি, ইন্টারনেটসহ মৌলিক সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন হচ্ছে। ফলে গ্রামীণ এলাকাতেও রিয়েল এস্টেট খাতের প্রসার ঘটছে। ৩. বিদেশি বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি:বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করছে। উন্নত নির্মাণ প্রযুক্তির ব্যবহারে গড়ে উঠছে আধুনিক ও বিলাসবহুল ভবনসমূহ। ৪. আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা:দীর্ঘদিন ধরে দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত স্থিতিশীল রয়েছে, যা রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলোর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। তারা নির্ভরযোগ্যভাবে নতুন প্রকল্প শুরু ও বাস্তবায়ন করতে পারছে। ৫. সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসন:UniMars Group সহ অনেক প্রতিষ্ঠান মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করছে, ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্পত্তি কেনার আগ্রহ বেড়েছে। চ্যালেঞ্জ ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো শহরে জমির মূল্য ও দুষ্প্রাপ্যতা, নির্মাণসংক্রান্ত জটিলতা ইত্যাদি কারণে সাধারণ মানুষ নিজেরা ভবন নির্মাণের ঝুঁকি নিতে চায় না। তাই তারা ডেভেলপারদের উপরই নির্ভর করেন। বাজারের সম্ভাব্যতা আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণা সংস্থাগুলোর মতে, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট বাজারের আকার প্রায় ২.৬৮ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে। এর মধ্যে আবাসিক রিয়েল এস্টেট বাজার একাই ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৮ সালের মধ্যে এই বাজারের আকার বেড়ে ৩.৫৩ ট্রিলিয়ন ডলার হতে পারে। ২০১২ সাল থেকে প্রতি বছর প্রায় ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা এই খাতে বিনিয়োগ হচ্ছে। কোভিড পরবর্তী কিছু ধীরগতি কাটিয়ে বর্তমানে আবারও বিনিয়োগ বাড়ছে, এবং শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকাতেও সম্পত্তির চাহিদা বাড়ছে। এখনই বিনিয়োগের সঠিক সময়? বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জনসংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৩২ কোটি। জনসংখ্যা যত বাড়বে, তত জমির দামও বাড়বে। তাই এখন রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যতে তার মূল্য কয়েকগুণ বাড়বে—এটি একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হতে পারে। রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগের উপকারিতা শেষ কথা UniMars Group ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট খাতে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। দেশের মানুষের আবাসন চাহিদা পূরণে তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি আপনার কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে একটি নির্ভরযোগ্য অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে চান, তাহলে এখনই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।